প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা আছে বলেই দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি হচ্ছে, দুর্যোগ মোকাবেলা সম্ভব হচ্ছে এবং মানুষের পাশেও দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘূর্ণিঝড় রেমাল কবলিত এলাকা পটুয়াখালীর কলাপাড়ার সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ মাঠে ত্রাণ বিতরণ শেষে বক্তব্য দিতে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় সরকারের ওপর সবাইকে আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, দুর্যোগ কাটিয়ে সবাই যেন নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করতে পারে সেসব ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে দুর্যোগ সহনীয় ঘর করে দেওয়া হবে, আওয়ামী লীগ সব সময় পাশে থাকবে, যা যা প্রয়োজন করে দেওয়া হবে।
এদিকে বিরোধী দলের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তারা মানুষের কথা বলে কিন্তু সহযোগিতা করে না। সমাবেশ বক্তব্যের আগে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। এ সময় দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতা এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ঢাকা থেকে রওনা হয়ে দুপুর পৌনে ১টায় মোজাহার উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ মাঠে আসেন প্রধানমন্ত্রী। কলাপাড়ার খেপুপাড়া সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন হেলিপ্যাডে অবতরণের আগে ভূমির কাছাকাছি থেকে দুর্যোগ কবলিত এলাকা মঠবাড়ীয়া ও পাথরঘাটা পরিদর্শন করেন সরকারপ্রধান।
ত্রাণ বিতরণ শেষে শহীদ শেখ কামাল ব্রিজ পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তিনি পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। সেখানে ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার বিষয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিক-নির্দেশনা দেবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মে রাত থেকে ২৭ মে শেষ রাত পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এর প্রভাবে ঝড়, বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে দেশের বিভিন্ন জেলার মতো উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এদিকে পটুয়াখালী জেলায় ৩ লাখ ২৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ২৩৫টি বাড়ি সম্পূর্ণ এবং ১ হাজার ৮৬৫টি আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে। এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষি খাতে ২৬ কোটি টাকা এবং মৎস্য খাতে ২৮ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়।